শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১০:২৯

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

বরিশালে মীরগঞ্জ খেয়াঘাটের দেড় কোটি টাকার ইজারা ৫০ লাখ !

dynamic-sidebar

এম. কে. রানা:বরিশাল জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত দেড় কোটি টাকার মীরগঞ্জ খেয়াঘাট ৫০ লাখে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কঠোরতায় ভেস্তে যেতে চলেছে সিন্ডিকেটের সেই উদ্দেশ্য। নির্ধারিত দরে ইজারাদার পাওয়া না গেলে জেলা পরিষদের তত্বাবধানেই চলবে খাস কালেকশন।জেলা পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, বাংলা ১৪২৬ সনের জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ খেয়াঘাটের ইজারা টেন্ডার আহবান করা হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি দরপত্র জমার দিনে কেউ দরপত্র জমা দেননি। নিয়ম অনুযায়ী আবারো দরপত্র আহবান করা হয়।

৭ মার্চ দরপত্র জমাদানের নির্ধারিত দিনে এবারও কোন দরপত্র জমা পড়েনি। জেলা পরিষদ তৃতীয়বার আবারো দরপত্র আহবান করে। ২৮ মার্চ দরপত্র জমাদানের নির্ধারিত দিনে মোঃ মাইনুল হোসেন পারভেজ নামে এক ব্যক্তি ৪১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা দর প্রদান করে দরপত্র জমা দেন। যা বর্তমান দরের চেয়ে এক তৃতীয়াংশ। বাধ্য হয়ে জেলা পরিষদ ৪র্থ বারের মতো আবারো টেন্ডার আহবান করে।

৪ এপ্রিল জমাদানের নির্ধারিত দিনে ওই একই ব্যক্তি একটি মাত্র দরপত্র জমা দেন। যার মূল্য ধরা হয় ৪২ লাখ টাকা। ভ্যাট ও আয়করসহ যার পরিমান দাড়াঅয় মাত্র ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যা বর্তমান ইজারা মূল্যের মাত্র এক তৃতীয়াংশ। আর কোন দরদাতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। বাংলা ১৪২৫ সনে (বর্তমানে) দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে এই খেয়াঘাটের ইজারা পান মোঃ আসাদুজ্জামান মেনন নামের এক ব্যক্তি। একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, বর্তমান ইজারাদার আসাদুজ্জামান মেনন ও এবারের দরদাতা মাইনুল হোসেন পারভেজ দু’জনই বাবুগঞ্জের বাসিন্দা। এর সুবাদে সিন্ডিকেট তৈরী করে এই দর প্রদান করেছেন।

এতে তারা লাভবান হলেও রাজস্ব হারাতে হবে সরকারকে। তাদেরকে কম দরে ইজারা পাইয়ে দিতে জেলা পরিষদের একটি অসাধু চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মানিকহার রহমান জানান, কোন কারনেই বর্তমান মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে খেয়াঘাটের ইজারা দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে ৫ম বারের মত দরপত্র আহবান করা হবে। যদি তাতেও কাংখিত মুল্যে ইজারাদার না পাওয়া যায় তবে জেলা পরিষদই নিজ তত্বাবধানে খেয়াঘাটের টোল (খাস কালেকশন) উত্তোলন করবে। আগামী পহেলা বৈশাখ থেকেই জেলা পরিষদ দায়িত্ব নেবে বলে জানান তিনি।

 

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net